জমি চুরি এখন শিল্পের পর্যায়ে উঠে গিয়েছে মদত কি ভুমি সংস্কার দপ্তরের একশ্রেনীর কর্মীর চর্চা শিল্পাঞ্চলে। গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালত চত্বরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল । অলঙ্কার চুরি , কারখানার যন্ত্রাংশ চুরি , ডাকাতি নানান ঘটনার গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় বিচারের জন্য নিয়ে আসা দুর্গাপুর আদালতে স্বাভাবিক ঘটনা । কিন্তু সেদিওন আদালত চত্বরে চর্চা বেশ জমে উঠেছিল । জমি চোর । এত চুরির ঘটনা শোনা গিয়েছে কিন্তু জমি চোরের গ্রেফতারি বেশ নজর কাড়ে সবার । আসলে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এখন জমি চুরি এক আর্টের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেই জোর চর্চা শিল্পাঞ্চলে । শিল্পাঞ্চলে জোর চর্চা এর পিছনে ভুমি সংস্কার দপ্তরের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মী যুক্ত না থাকলে এটা অসম্ভব
কাণ্ডেশ্বর গ্রামের ঘটনা । এক মৃত ব্যক্তির জমির নথি চুরি করে সেই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । জমির আসল মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ করার ফলে গ্রেফতার হয় বিভাস সৌ নামে এক ব্যক্তি । তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয় । এরপরেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা চলছে দেদার জমি চুরি । নো রেকর্ড ফাউন্ড জমি , খাস জমি , বনবিভাগের জমি এসব জমির দিকেই নাকি নজর জমি চোরদের । দুর্গাপুর পুর্ব বিধানসভার একটি প্রাচিণ গ্রামে একটি নো রেকর্ড ফাউন্ড জমি আচমকাই এক ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ । সেই জমি আবার চারজনের মধ্যে ভাগ হয় এবং বাকি অংশ বিক্রি হয় চড়া দামে । এক জমির দালাল এই জমি বেচার সাথে যুক্ত । পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে এই জমি চুরি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ফেলেছিল । অভিযোগ শাসকদলের এক নেতাকে পাকড়াও করার পরেই এই জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে দ্রুত গতিতে ।
জেমুয়া পঞ্চায়েত । তৃণমুল জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিধানসভা এলালা । টেটিখোলা , কালীগঞ্জ , শঙ্করপুর ,খৃষ্টানপাড়া এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বহুতল আবাসন গড়ার ব্যবসা । আর এই অঞ্চলকে ঘিরেই জোর চর্চা জমি চুরির । জমি চুরিতে যুক্ত রয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা বলেই জোর চর্চা এই এলাকায় । অভিযোগ শাসকদলের এইসব নেতা যুক্ত না থাকলে কিছুতেই হতে পারতো না এসব জমি চুরি । অভিযোগ একটি সরকারি খাস জমি চুরি হয়েছে । কিভাবে ? অন্য লোকের খতিয়ান নম্বর চুরি করে জমিটিকে খাস থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন করা হয়েছে বলে অভিযোগ । সেই জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে নিঃশব্দে ।
একটি ডোবা ভরাট করার কাজ চলছে প্রকাশ্যেই বলে অভিযোগ । অভিযোগ এই ডোবার জমি ভরাট করে হবে বহুতল । কিন্তু কিভাবে এই জলাশয়ের রেকর্ড পরিবর্তন করা হচ্ছে ? অভিযোগ এসব শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে বহুকাল আগেই । সেই কবে বাঁশকোপা শিল্পতালুকে বাণেশ্বর বাঁধ হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই জমি চুরি , জলাশয় চুরি , জল ভাত ।
জেলা পরিষদের বন ভূমি সংস্কার কর্মাধক্ষ্য বুড়ি টুডু বলেন লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
ভুমী সংস্কার দপ্তর সুত্রে বলা হয়েছে অভিযোগ নেই , অভিযোগ এলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।