২২ কিলোমিটার ঘন জঙ্গল । তিন মাসে ছয়ের বেশি প্রাণ হানী দুর্ঘটনার জেরে । বন্যজন্তু যাচ্ছে মারা । তবুও রাজ্য সরকারের হুঁশ নেই এই রাজ্য সড়ক নিয়ে । পানাগড় – দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক । অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এই রাজ্য সড়ক উত্তরবং আর দক্ষিণবঙ্গকে যুক্ত করেছে সড়ক পথে । পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল যাতায়াতের অন্যতম প্রধান রাজ্য সড়ক পানাগড় – দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক । সারাদিনে কয়েক হাজার যানবাহন যাতায়াত করে । দুরপাল্লার বাস , পাথর বোঝাই ডাম্পার লরি যাতায়াত করে কয়েক হাজার সারাদিনে । এদিকে এই রাজ্য সড়কের উপরেই রয়েছে কাঁকসার জঙ্গল মহলের এলাকার গ্রামগুলি । ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত , কাঁকসা পঞ্চায়েত, বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় দশটি গ্রাম যেগুলি একেবারেই এই রাজ্য সড়কের পাশেই । এছারা মলানদিঘি পঞ্চায়েত , বিদবিহার পঞ্চায়েতের গ্রামগুলির প্রচুর বাসিন্দা নানান কাজে এই রাজ্য সড়কের উপর দিয়েই সাইকেল ও বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন । এছাড়াও আউশগ্রাম ২নইং ব্লকের ভাতকুন্ডা থেকে দেবশালা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা এই রাজ্য সড়কের উপর দিয়েই যাতায়াত করেন পানাগড় এবং দুর্গাপুর যাতায়াতের জন্য । সন্ধ্যা নামলেই এই রাস্তা হয়ে ওঠে মরণ ফাঁদ বলে অভিযোগ স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের । বেশ কয়েকটি বন্ধ কারখানা রয়েছে এই রাজ্য সড়কের পাশেই ফলে দুস্কৃতি হানা বারবার ঘটে এই বন্ধ কারখানাগুলিতে । কাঁকসা পুলিশ মাস খানেক আগেই নয় জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে । স্থানীয় বাসিন্দা পীযুষ রায় বলেন সন্ধ্যার পরে সাইকেল করে যাওয়া আদৌ নিরতাপদ নয় কারন ২২ কিলমিটার জঙ্গল এলাকায় কোন পথবাতি নেই । কলেজ ছাত্রী অনুরাধা সামন্ত বলেন “ স্কুটি করে যাওয়ার সময় ডাম্পার আর লরির জোরালো আলো চোখে এসে পড়ে ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগতে হয় প্রতিদিন”। অনুরাধার কথায় পথবাতি অতি প্রয়োজন কিন্তু প্রশাসন আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না । স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের একাংশের কথায় এই রাজ্য সড়কে অতি দ্রুত গতিতে ভাড়ি গাড়িগুলি যাতায়াত করে কিন্তু পথবাতি না থাকায় চরম আতঙ্কেই যাতায়াত করতে হয় । একদিকে এই রাজ্য শড়ক ওয়ানওয়ে নয় , ব্লাইণ্ড স্পটগুলিতে কোন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না আর সবেচেয়ে বড় সমস্যা পথবাতি না থাকা তার ফলে পানাগড় দুবরাজপুর রাজ্য সড়কের কাঁকসা ব্লকের অঞ্চল এলাকা অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে । স্থানীয় গ্রামগুলির বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ এই রাজ্য সড়কের শুধু ৪০ কিলোমিটার এলাকায় দুর্ঘটনায় প্রতিমাসে যেভাবে বেশ কয়েকটি প্রাণহানী ঘটছে তাতে এই রাজ্য সড়ক এখন যমের সড়ক বলেই পরিচিত এলাকায় ।