চিত্তরঞ্জন রেল শহরে রেল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছেন অবৈধ সব ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ফেলার।রেল প্রশাসনের তরফে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।আবার যাদের বাড়ি রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিচ্ছি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাবনি বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায়।তারই নির্দেশ মত ঘরহীন ৩১টি পরিবারকে হিন্দুস্তান কেবেলসের ভগ্ন আবাসনে অস্থায়ী ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে পূর্ন বাসন সমিতি।তবে মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জন শহরের সিমজুড়ি কাপুরি বস্তি নামক জায়গায় প্রায় ৪১বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।কিন্তু দেখা যায় সেই জায়গায় অবস্থিত বিজেপি কার্যালয় ভাঙ্গা হয়নি।সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় মানুষজন থেকে বিরোধীরা দলের নেতা কর্মীরা।আবার এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কর তেওয়ারী বলেন রেল কর্তৃপক্ষের তার দোকান বাবদ ১হাজার স্কয়ার ফুট অ্যালটমেন্ট রয়েছে।তাই তার দোকান এবং বাড়ি ভাঙ্গা হয়নি।আর বিজেপির দলীয় কার্যালয়টি তিনি তখনই ভাঙতে দেবেন যখন রেল কর্তৃপক্ষ চিত্তরঞ্জন শহরের মধ্যে অবস্থিত বাকি দলের কার্যালয় গুলি ভাঙবে। আবার এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ভোলা সিং জানান রেল কর্তৃপক্ষ হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের অধীন।তাই তারা কেন্দ্র সরকারের মোদি ও শাহার মত গবীর মানুষ গুলির শোষণ নীতি গ্রহণ করেছে।আমি মানছি রেল কর্তৃপক্ষ আগে নোটিস দিয়েছেন তাও এত ঠান্ডার মধ্যে গরীব মানুষের মাথার ছাদ কেড়ে নিলেন তারা।তারা সবাই এত বছর ধরে এই অঞ্চলে বসবাস করে এসেছে।তারা আজ কোথায় চলে যাবে।আজ যদি আমাদের বিধায়ক তাদের পাশে না দাঁড়াতো তবে তারা কোথায় যেতো।তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সেইসব ঘরহীন মানুষ গুলির সাথে যোগাযোগ করে তাদের খাওয়া দাওয়া এবং অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে।কারণ তারা সবাই বারাবনি বিধানসভার ভোটার।এই সময় তাদের পাশে থাকা আমাদের সবার কর্তব্য।