মূক ও বধির তরুণীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী। দুর্গাপুরের বিধাননগর ফাঁড়ির অদূরে একটি বেসরকারি কারখানার সামনের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলতি মাসের দু তারিখ দুর্গাপুরের বিধাননগর ফাঁড়ির রাঙামাটি পথে এক বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নার্সকে জঙ্গলে টেনে গিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এক মূক ও বধির তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবারও অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। পরিবারের দাবি, প্রতিদিনই বেলা চারটের মধ্যেই ঘরে ফিরে যেতেন ওই তরুণী। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরাতে সন্দেহ হয় পরিবারের। খোঁজ করতে করতে তাঁরা পৌঁছে যান বেসরকারি কারখানার সামনের জঙ্গলে।
সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে আরও দুই যুবককে দেখতে পান তাঁরা। পরিবারের লোকজন তাড়া করে দুই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপর ধৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্যাতিতাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সোমবার সকালে অভিযুক্ত দু’জনকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে চায়নি অভিযুক্তরা। আপাতত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন নির্যাতিতা। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা নিজেরাই খোঁজ করতে বেরিয়েছিলাম। জঙ্গলের মধ্যে ওদেরকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখতে পাই। আমরা রে রে করে উঠতেই মেয়েটাকে ফেলে ছুট দেয় দুটো ছেলে। আমরাও তাড়া করে ধরে ফেলি।”
জেলা সিপিআইএম সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “বাংলা দুষ্কৃতীদের অবাধ জোনে পরিণত হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।” উল্লেখ্য, NCRB রিপোর্ট বলছে, বাংলায় নারী নিগ্রহ অনেকটাই কমেছে। এমনকি কলকাতা দেশের মধ্যে অন্যতম নিরাপদ শহর। কিন্তু বারে বারে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায়, প্রশ্ন উঠছেই।