লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হচ্ছে ডিসেম্বরের কলকাতায়। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানে যোগদানের প্রবল ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর। তবে এখনও নিশ্চিত নয়, তিনি ২৪ ডিসেম্বরের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না। সূত্রের খবর, গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে আরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান রয়েছে এই রবিবার। প্রধানমন্ত্রীরই তিনটি অনুষ্ঠান রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী আসতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে মোদী আসছেন, এমনটা ধরেই এগোচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
এই গীতাপাঠকে কেন্দ্র করে ব্রিগেডে এই মুহূর্তে সাজ সাজ রব। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এই গীতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। কারণ, গীতা শুধু ধর্মগ্রন্থই নয়, গীতা জীবনের কথা বলে, জীবনদর্শনের কথা বলে। যা প্রতিটা মানুষের পথচলার মন্ত্র। প্রস্তুতি কমিটির তরফে মানস ভট্টাচার্য বলেন, “১ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে গীতাপাঠ করবেন, সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর থাকার কথা। তার জন্য যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা নিয়েছি। তিনি নিজে থেকেই এখানে আসতে চেয়েছিলেন। ভুললে চলবে না, গীতা শুধু ধর্মগ্রন্থ না জীবনদর্শনও বটে। আমরা আশায় আছি প্রধানমন্ত্রী আসবেন। তবে উনি যদি না আসতে পারেন তাতে বিষাদগ্রস্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, গীতা কোনও কিছুতেই বিষাদের কথা বলে না।” এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আসার অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসছেনই এমন নিশ্চিত কোনও বার্তা কোনওদিন ছিল না। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হচ্ছে। অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশ। যারা আয়োজক, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন বা সাংস্কৃতিক সংগঠনের। দূর দূর পর্যন্ত তার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবস্থান বলেছিলেন। এখন কোনও কারণে যদি প্রধানমন্ত্রী না আসেন সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের প্রয়োজন নেই। তবে আমারও বিষয়টি জানা নেই।”