“ এসব পচা নামগুলো নিয়ে বলবেন না । এসব নাম মুখে আনলে আমাকে ডেটল দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে হবে”সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমুল নেতাদের সম্বন্ধে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল । বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অবশ্য নিজের গেটআপ একেবারেই পাল্টিয়ে দিয়েছেন । আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল এখন এক্কেবারে নিজেকে গড়ে তুলেছেন গোবলয়ের বিজেপি নেত্রীদের গেটআপে । বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা আসানসোল কেন্দ্রে অগ্নিমিত্রা পাল নাকি জীতেন্দ্র তেওয়ারি কে পাবেন বিজেপির টিকিট তাই নিয়েই চলছে জোর ঠান্ডা লড়াই । আর দুজনেই এই মুহুর্তে নিজের নিজের মতো করে জনসংযোগ করছেন চুটিয়ে । তবে জীতেন্দ্র তেওয়ারির থেকে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটেই আছেন অগ্নিমিত্রা পাল । শুক্রবার জামুরিয়ার বেসরকারী ইস্পাত কারখানায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত দুই শ্রমিক চিকিৎসাধীন দুর্গাপুরের এক বেসরকারী হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে আহত শ্রমিকদের দেখতে দুর্গাপুরে আসেন আসানসোল দক্ষিনের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি কারখানা কতৃপক্ষকে সরাসরি মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন যে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পুর্ন গাফিলতি কারখানা কতৃপক্ষের। শ্রমিকদের নিরাপত্তার ন্যুনতম পোষাক পর্যন্ত সরবরাহ করেনা বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন একে তাকে ধরে লাভ নেই আসল মাথাটাকে ধরা হোক । রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই বিজেপি বিধায়ক । তিনি বলেন রাজ্যে আওল্কায়দারা বসে আছে , বার বার বিস্ফোরণ ঘটছে আর মুখ্যমন্ত্রী এসব জানেন না ? তিনি সব জানেন । এন আই এ তদন্ত করছে”। সাংসদ অভিষেক নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন “ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন তার সম্পত্তি বাংলার মানুষ জানবে না এটাই চাইছেন । কিন্তু এত সম্পত্তি এল কিভাবে তা বাংলার মানুষ জানতে চাইবেই । সম্মানিয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা গলা টিপে ধরেছে বলেই তার এজলাস থেকে মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । এক আদালত থেকে অন্য আদালত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নিজের সম্পত্তি আড়াল করতে। যুবরাজ বলছেন দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসীতে ঝুলবেন , বালাই ষাট ফাঁসীতে ঝুলবেন কেন , দু চার বছর জেলে থাকতে হবে”। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন রাজ্য পুলিশ আর সি আই ডি নিয়ে আমাদের ভরসা নেই আমরা ভরসা করি সি বি আই আর ই ডির উপরে”।
তবে দুর্গাপুরে অগ্নিমিত্রা পালের কটাক্ষের জবাবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এখন বড় চিন্তায় আছেন যদি লোকসভার টিকিটটা আবার কেড়ে নিয়ে চলে যায় জীতেন্দ্র তেওয়ারি তাহলে তিনি যাবেন কোথায় ।তাই ভুলভাল বকছেন উনি । আসলে নিজেকে মিডিয়ার মাধ্যমে ভাসিয়ে রাখতে বড্ড প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন । গোমুত্রতে কি এলার্জি আছে বিজেপি বিধায়কের তাহলে তো ওনার টিকিট মিলবে না , অন্তত গোবর দিয়ে কুলকুচি করার কথা বললেও গোবলয় ওনাকে টিকিট দিত”। শিক্ষক নেতা জগবন্ধু দাস বলেন “ সাংবাদিকদের প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন উনি আর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করছেন সেভাবেই । সাংবাদিকদের উচিত ছিল নারদা ঘটনায় ই ডি আর সি বি আই কেন তদন্ত করছে না শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কিন্তু সাংবাদিকেরা সেসব প্রশ্ন করবেন না , কে জানে সাংবাদিকরা হয়তো বিজেপি কে ভয় পায় জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয়”।