গুসকরা শহরের লোকসংখ্যা দেখতে দেখতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছুঁই ছুঁই। সঙ্গে আছে শহর সংলগ্ন ভাতার, আউসগ্রাম ও মঙ্গলকোটের একটা বড় অংশের মানুষ। চিকিৎসার জন্য সবার গন্তব্য গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই বিপুল পরিমাণ রুগীর চাপ সহ্য করার মত পরিকাঠামো স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির নাই। ফলে মাঝে মাঝে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির উন্নতিকরণের দাবি ওঠে।
এলাকাবাসীর দাবি মেনে দীর্ঘদিন ধরে আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার এবং গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত হওয়ার পর কুশল মুখার্জ্জী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির উন্নতিকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বার দরবার করেছেন। অবশেষে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাওয়া গেল।
১৬ ই ডিসেম্বর গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির পরিকাঠামো পরিদর্শনে আসেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং আউসগ্রাম-১ নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী।
কুশল বাবু বললেন- স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ধীরে ধীরে উন্নতির জন্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমরম পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ মেনে রুগীদের স্বার্থে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যাতে ৩০ টি বেডের করা যায় তার জন্য রুগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি আবেদন খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হবে। পুরসভার পক্ষ থেকেও নতুন করে আবেদন করা হবে। তিনি আরও জানালেন – এখানে একটি ডিজিটাল এক্সরে মেসিন বসানো হবে ও ইসিজি করার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। তার আশা খুব শীঘ্রই এলাকাবাসী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে উন্নতমানের পরিষেবা পাবে।