বেলা ১২টা নাগাদ বড়সড় বিপত্তি ঘটে গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। ভরদুপুরে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক। তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে ছিল ১৮৯০ সালে তৈরি এই ট্যাঙ্কটি। যে সময় দুর্ঘটনা ঘটে তখন প্ল্যাটফর্মে ট্রেনর জন্য অপেক্ষা করছেন শয়ে শয়ে যাত্রী। বিপর্যয়ের পরেই প্রশ্ন উঠেছে ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। ঘটনায় ২৭ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার জেরে দীর্ঘ সময় হাওড়া বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। একাধিক স্টেশনে লোকালের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যায় দূরপাল্লার ট্রেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। যদিও শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে, ট্রেন চলাচল শুরু হলেও বেশিরভাগ ট্রেনই ধীর গতিতে চলছে। টাইমের বেশ কিছু দেরিতে ঢুকছে গন্তব্যে। তবে হাওড়া থেকে বর্ধমানগামী ট্রেনগুলি ব্যান্ডেল স্টেশনে শুরুতে দেরিতে ঢুকলেও এখন ধীরে ধীরে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। দুপুরে রেল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছিল সকাল ১০টার আপ হাওড়া বর্ধমান লোকাল দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে কবিগুরু এক্সপ্রেসও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় রসুলপুর স্টেশনে। তবে পার্শ্ববর্তী যে ক’টি স্টেশনে লোকালগুলি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল সেগুলি ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে ছেড়েছে বলে খবর। বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলার জন্য বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি বন্ধ আছে বলে খবর। এই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে কোনও ট্রেনই ছাড়ছে না। তবে বাকি প্ল্যাটফর্মগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত ট্রেন বাতিলের কোনও ঘোষণা করা হয়নি রেলের তরফে।