বুধবার সকাল থেকে আসানসোলের প্রাক্তন বিধায় সোহরাব আলীর বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও এদিন সকালে বার্নপুরের একাধিক জায়গায় আয়কর হানা চলছে। প্রসঙ্গত এদিন একযোগে পশ্চিম বর্ধমান,কলকাতার সহ সব মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় ৩৫ জায়গায় একই সঙ্গে আয়কর হানা চলছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর মূলত বালি এবং লোহা কারবারিদের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিন রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বার্নপুরের রহমতনগরে দুটি বাড়িতেই হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। প্রাক্তন বিধায়ক ছাড়াও এদিন বার্নপুরের আর এক লোহা কারবারি এবং প্রোমোটার ইমতিয়াজ আহমেদ খানের অফিস এবং বাড়িতে এবং আসানসোলের এক লোহা-বালির কারবারির বাড়িতেও সকাল থেকে অভিযান চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ আসানসোলে সোহরাব আলীর দুটি বাড়িতে পৌঁছে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মীরা। এরপর দুটি বাড়িতেই জোর কদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
প্রসঙ্গত ১৯৯৫ সালে আসানসোল আরপিএফ রেলের লোহার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ দায়ের করে সোহরাবের বিরুদ্ধে। চুরির ওই মামলা চলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। ২০১৫ সালে বিধায়ক থাকাকালীন ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। এক দিনের জেল হয় এবং ওই দিনেই জামিনে মুক্ত হন তিনি।