আসানসোলে এবার তোলা আদায়ের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূল কাউন্সিলর যুযুধান দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ জামুড়িয়ার সেন্ট্রাল সাতগ্রাম এরিয়ায় ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতে হলেও তোলা দিতে হচ্ছে তৃণমূলকে। আর এই অভিযোগ ঘিরেই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
উল্লেখ্য জামুড়িয়ার সেন্ট্রাল সাতগ্রাম এরিয়াটি আসানসোল পুরনিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। যার বর্তমান কাউন্সিলর বৈশাখী বাউরি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইসিএলের জমি বা সরকারি জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গেলেই কাউন্সিলারের লোকেরা এসে কাজে বাধা দিচ্ছে। একই সাথে তারা গরীব লোকেদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করছে এবং তারপরেই বাড়ি তৈরির অনুমতি দিচ্ছে।
অন্যদিকে স্থানীয়দের এই অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার ওই এলাকায় মানুষদের সাথে বৈঠক করেন জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং। সেখানে উপস্থিত হয়েছিল প্রায় কয়েকশো মানুষ। তাদের উপস্থিতিতে বিধায়ক জানান, এলাকার মানুষের যেকোনো সমস্যার সমাধানে বদ্ধ পরিকর তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর কাজ না করলে তারা যেন নিজেদের সমস্যা নিয়ে আকলপুরের বিধায়ক অফিসে দেখা করেন। প্রয়োজনে তিনি মহানাগরিকের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন। একই সাথে ইসিএলের জমিতে বাড়ি তৈরি করতে তোলা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “যদি দলের কেউ এই ধরণের কাজ করে থাকে তবে তার নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।”
অন্যদিকে স্থানীয় কাউন্সিলার বৈশাখী বাউরি তোলা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বলেন,”তার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। জমি ইসিএলের হলেও এলাকাটি পুরনিগমের অন্তর্গত। তাই যে যেখানে খুশি বাড়ি তৈরি করে নিতে পারেননা। পুরনিগমের অনুমতি পত্রের প্রয়োজন রয়েছে।” পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়কের তার এলাকায় বৈঠক করার বিষয়টি নিয়ে বৈশাখী বলেন, “বিধায়কের যদি মনে হয়ে থাকে কাউন্সিলর কোনো ভুল করেছেন তাহলে বিষয়টি তিনি সরাসরি তাকে জানাতে পারতেন।” এমনকি তাকে বাদ দিয়ে বিধায়কের এলাকায় বৈঠক করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সব মিলিয়ে তোলা আদায় নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্বের বিষয়টি একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।