জমিজটে আংশিক সফলতা মালিকদের


দীর্ঘ দুবছর আন্দোলনের পর আংশিক সফলতায় খুশি জমির মালিকরা। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এবিপিট কোলিয়ারীর সিএম প্রজেক্টের আওতায় এলাকার প্রায় ২৪০ একর জমি অধিগ্রহণ নিয়েই দ্বন্দ্ব। কোলিয়ারীর আশেপাশের গ্রাম কুমারডিহি, জোয়াল ভাঙা এলাকার জমির মালিকদের বক্তব্য ইসিএল তাদের এই জমির আসে পাশে দীর্ঘদিন আগেই অধিগ্রহণ করেছে। সেখানে কয়লা তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ইতি মধ্যেই, আর তার ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের জমি। জমির মালিকদের দাবী তাদের জমিগুলি অধিগ্রহণ করুক ইসিএল। এই নিয়েই দীর্ঘদিনের আন্দোলোন। এই নিয়ে ইতি মধ্যেই আন্দলোন করেছেন গ্রামবাসিরা।ইসিএলের আধাকারিকরা জমির মালিকদের বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিলেও মেলেনি সুরাহা।

তাই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে কুমারডিহি এবিপিট কোলিয়ারীর সিএম প্রজেক্টের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হলো বিক্ষুব্ধ জমির মালিকরা। প্রায় ৪ ঘন্টা কোলিয়ারীর উৎপাদন ও পরিবহনের কাজ বন্ধ থাকার পর ঘটনাস্থলে আসে ইসিএলের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী থেকে সিআইএসএফ। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন কোলিয়ারীর এজেন্ট রাজকিশোর প্রাসাদ সিং ও বাঁকোলা এরিয়ার জ্যানারেল ম্যানেজার সঞ্জয় সাহু। ইসিএল আধিকারিকরা আন্দোলন কারী জমির মালিকদের প্রায় ৬০ শতাংশ জমি অধিগ্রহনের এপ্রুভ্যালের কাগজ লিখিত আকারে জমির মালিকদের হাতে তুলে দিলে আপাতত আন্দোলোন প্রত্যাহার করেন জমির মালিকরা।

আন্দোলন কারী জমির মালিক আবির লাল মুখার্জি, সনৎ মুখার্জি, জগন্নাথ রায় চৌধুরী রা জানান, আপাতত দু বছর পর সাফল্য এল। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৬০ শতাংশ জমির সমস্যা কাটলো। তবে বাকি ৪০ শতাংশ জমির সমস্যা সমাধানে ইসিএল আধিকারিক রা কিছুদিন সময় চেয়েছেন। তবে এই সময়সীমার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ফের জমি আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *