হাজার হাজার বছর ধরে মেষ পালকের কাহিনি চর্চিত হয়ে আসছে। যীশু খ্রীষ্ট এই মেষ পালকের জীবনে আলোপ্রজ্জ্বলিত করেছিলেন। আলোর শিশু যীশু জন্মগ্রহণও করেছিলেন ভেড়ার আস্তানায়। বাগদত্তা জোসেফকে নিয়ে কুমারী মা মেরী মেষপালকের আস্তানায় জন্ম দিয়েছিলেন যীশুকে। (মরিয়মের)কোলে ফুটফুটে আলোর শিশুকে প্রথম দর্শনও করেছিলেন এই মেষপালকেরাই । হাজার হাজার বছরের মেষপালকদের পরম্পরা আজ অব্যাহত আছে। এই বানজারা মেষ পালকেরা সারা ভারতবর্ষে তাদের মেষ অর্থাৎ ভেড়া নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ভেড়া চরানোই তাদের জীবন এবং জীবিকা। এবং ভেড়া চরাতে চরাতেই তাদের জীবন মরণ এক নীরব ইতিহাস লেখে।
বংশ পরম্পরায় এই কাজই করছেন তারা এমনই বললেন দীনেশ পাল। সারা বাংলায় এই মেষপালকের দল তাদের মেষপাল নিয়ে অর্থাৎ ভেড়াগুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ান মাইলের পর মাইল একটু ঘাস একটু জলের ব্যবস্থা থাকলেই আস্তানা গাড়েন মেষপালকেরা। তাদের জীবনযাত্রা পথে পথেই কেটে যায়। সংসার পথ মাঠ ঘাটই তাদের ভবিষ্যৎ। পথই তাদের অতীত এবং বর্তমান। মেষ পালকের দল এখন দুর্গাপুরের পারুলিয়ায়, দুর্গাপুর মিউনিসিপালটির এক নাম্বার ওয়ার্ড এখানে, প্রায় প্রতি বছরই মেষ পালকের দল ঘাঁটি গাড়ে। মেশপালকদের এক অবিরাম যাত্রা ও তাদের পরম্পরার কাহিনি শুনে নিন তাদের মুখেই।