পানাগড় খুনে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বাড়ির ভিতরে দুটি বিদেশি পোষ্য থাকা সত্ত্বেও অপরিচিত কোন ব্যক্তি বাড়ির ভেতরে ঢুকলে তারা কোন চিৎকার চেঁচামেচি করলো না কেন? বিদেশি পোষ্যরা চুপ থাকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। শুক্রবার বাড়ির ভেতর তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাঁকসা থানার অন্তর্গত পানাগড় রেলপাড় সারদাপল্লী এলাকায়। বাড়ির ভেতর ঢুকে তিনজনকে খুন করে আঁততায়ী চম্পট দিয়েছে বলে জানা গেছে। সারদাপল্লীর বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা তার স্ত্রীকে নিয়ে আসামে মেয়ের কাছে গেছেন। যে কারণেই বাড়িতে ছিলেন তার এক মেয়ে,ধনঞ্জয়ের শাশুড়ি ও শালার ছেলে। এদিন দুপুরে ধনঞ্জয়ের ভাইয়ের স্ত্রী হেলমেট পরা একজনকে বাড়ির ভেতর ঢুকতে দেখে। কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তিটি। এরপরই তিনি বাড়ির ভেতর ঢুকে দেখেন পড়ে রয়েছে তিনজনের মৃতদেহ। ঘরের ভিতর পড়েছিল মেয়ে ও শাশুড়ির দেহ এবং বাড়ির উঠোনে ছিল শালার ছেলের মৃতদেহ পড়ে। এরপরই চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাঁকসা এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল, ডিসি পূর্ব কুমার গৌতম সহ অন্যান্যরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত তিনজনের নাম সিমরান বিশ্বকর্মা ( মেয়ে), সীতা দেবী (শাশুড়ি), সনু বিশ্বকর্মা (শালার ছেলে)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান তিনজনকেই খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা কিকারনে এই কাজ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে তবে বোঝা যাবে কি কারনে এই মৃত্যু। তবে হেলমেট পরা অবস্থায় অপরিচিত কোন ব্যক্তি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করা সত্ত্বেও পোষ্য গুলি চিৎকার কেন করল না? তবে কি ওই ব্যক্তিটির হামেসাই আসা যাওয়া ছিল এই বাড়িতে। যে এসেছিল তাকে কি চিনত এই সারমেয়গুলি এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।