পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত দুর্গাপুর ভাদু বালা বিদ্যাপীঠ। একটি আদর্শ স্কুল হিসেবে নজির সৃষ্টি করেছে। জেমুয়া গ্রামের অকাল বিধবা ভাদুবালা দেবী। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এই গ্রামে একদিন স্কুল হবে। শয়ে শয়ে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে। তাঁর অর্জিত অর্থ গ্রামের দুই কৃতী যুবক মালেক ওস্তার ও অশোক চট্টরাজের রাতে তুলে দিয়েছিলেন গ্রামে স্কুল করার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য পূরণে মালেক ওস্তার অশোক চট্টরাজ সহ বন্ধুরা মিলে প্রথমে একটি চালা ঘরে স্কুল স্থাপন করেন পরে পরে সেটি স্কুলে পরিণত হয়। বাড়ি ঘর তৈরি হয় ক্রমে ক্রমে। প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে মালেক ওস্তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তারপর আস্তে আস্তে স্কুলটি বাড়তে থাকে। এখন সবুজে সবুজে ঘেরা পশ্চিম বর্ধমানের উল্লেখযোগ্য স্কুল ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ। পেয়েছে নানা সরকারি অনুদান। মালেক ওস্তারের সুযোগ্য পুত্র বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নুরুল হক এই স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন সরকারি অনুদান এনে দেওয়ার কাজটি করেন। এডি ডি এর পক্ষ থেকে এলইডি সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কমিউনিটি হল সহ সব রকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমান প্রধান শিক্ষক জইনুল হক নিরলস পরিশ্রম করে একটি আদর্শ বিদ্যালয় এর নিয়ম শৃঙ্খলা শিষ্টাচার এবং পঠন পাঠনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে স্কুলের প্রচুর উন্নতি ঘটান। কিভাবে আজ এই জায়গায় পৌঁছালো শুনুন প্রধান শিক্ষকের মুখ থেকে। এই স্কুলে কবি ঔপন্যাসিক আশরাফুল মন্ডল ও কবি শক্তিপদ পাঠক শিক্ষকতা করেন।