ডিএসপি কারখানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য। সিআইএসএফের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিক নেতৃত্ব। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ডিএসপি কারখানা চত্বরে। প্রসঙ্গত সম্প্রতি রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতিতে হাজিরা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কারখানায়। আর এই প্রক্রিয়া মানতে রাজি নন কর্মীরা কর্মীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ডিএসপি কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা। এই বিক্ষোভে যোগ দেয় সিটু, আইএনটিইউসি, বিএমএস, আইএনটিটিইউসি, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি ও এইচএমএস। রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চালু করা হলে শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাবে বলে অভিযোগ। কোনভাবেই এই প্রক্রিয়া তারা মানবেন না বলে দাবি তুলে শুক্রবার সকাল থেকে ডিএসপি গেটের সামনে শুরু হয় যৌথ আন্দোলন। শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, পুজোর মুখে বোনাস দিতে টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। ৩৯ মাসের এরিয়ার বকেয়া রয়েছে তাদের। বেতন চুক্তি বকেয়া হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। অস্থায়ী শ্রমিকদের সম্মানজনক মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন সিটু নেতা বিশ্বরূপ ব্যানার্জি, আইএনটিটিউসি নেতা স্নেহাশীষ ঘোষ, বিএমএস নেতা অরূপ রায় প্রমুখ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিন শ্রমিক নেতৃত্বরা বিক্ষোভের শেষে কারখানার ভেতর ঢুকতে গেলে তাদের বাধা দেন সিআইএসএফ। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে আলোচনায় না বসলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।