মহালয়ার প্রাক্কালে কি ফের বাড়বে রেডিওর কদর ? পিতৃপক্ষের অবসান দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে বাঙালি মন কি আজও রেডিওর সেই কণ্ঠস্বর শুনতে চান ? প্রাণ কি ফিরে পাবে বাড়ির এক ফোনে পড়ে থাকা জরাজীর্ণ রেডিওটা! আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই কি আকাশে বাতাসে ভেসে উঠবে ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জরী’। রাত পেরোলেই মহালয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান কৈলাস থেকে উমা ফিরছেন বাপের বাড়ি। এদিনই আক্ষরিক অর্থে আপামর বাঙালির মনে সূচনা হয় দুর্গাপুজোর। আর অতীতের পরম্পরাকে ধরে রেখেই আজও ভোর চারটেয় রেডিওতে বেজে ওঠে মহিষাসুরমর্দিনী।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাঙালির দুর্গাপুজোর। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই রেডিওয় ভেসে আসা সেই কণ্ঠস্বরেই বাঙালির আবেগ ঐতিহ্য পরম্পরা। দিন বদলাচ্ছে, সময় বদলাচ্ছে। আধুনিকতার হাত ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি। আলো ঝলমলে স্মর্টফোন, স্মার্ট টিভির যুগেও এই বিশেষ দিনে বাঙালি আজো কান পাতে রেডিওয়। বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলেই একসাথে জড়ো হয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ‘শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’ শোনার শ্রোতা কমেনি। সারা বছর হয়তো সেভাবে হাত পড়ে না বাড়ির ছোট্ট এই যন্ত্রটিতে। তবে দেবীপক্ষের সূচনার আগেই ধুলো ঝেড়ে রেডিও মেরামতে তৎপর হয় নস্টালজিক বাঙালি। ঠিক ভোর চারটে বাতাসের সুর ভেসে ওঠে ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু… ‘