কচিকাঁচাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রভাত জ্যোতির্ময়ী জ্ঞানপীঠ কলেজে


প্রভাত জ্যোতির্ময়ী জ্ঞানপীঠ আয়োজিত জেলা ব্যাপী বসে আঁকো প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে জাঁকজমক ভাবে পালিত হলো প্রভাত জ্যোতির্ময়ী কলেজ প্রাঙ্গনে।এদিন দুটি অর্ধে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।প্রথম অর্ধে দুটি বিভাগ গ্রুপ এ ও বি বিভাগের ফলাফল ঘোষণার সাথে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া ২৫৬ জন প্রতিযোগী ও সঙ্গে তাদের অভিভাবকরা।এদিন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের স্বীকৃতি স্বরূপ ও প্রত্যেকের মধ্যেই উৎসাহ,প্রেষণা সঞ্চার করার জন্য,প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর হাতেই তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র ও সম্মাননা মেডেল।প্রথম সেরা দশ জনকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা শংসাপত্র ,ও মেডেল।এছাড়াও প্রতিযোগিতার নিয়মমাফিক দুটি বিভাগের প্রথম তিন স্থানাধিকারীর হাতে সুদৃশ্য স্মারক,মেডেল ও শংসাপত্র তুলে দেন কলেজের কর্ণধার ও সম্পাদক লছমন বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রথম অর্ধের পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ঠ,রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ কল্যাণ ভট্টাচার্য।এদিন দ্বিতীয়ার্দ্ধে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় গ্রুপ সি, ডি ও ই বিভাগের।ও বিভাগগুলি থেকে অংশ নেওয়া ২৬০ জন প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকেরা এই অর্ধের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান প্রেক্ষাগৃহ ছিল এই অর্ধেও কানায় কানায় পূর্ণ।শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় নয়, তার পাশাপাশি নৈতিক,বৌদ্ধিক,,সামাজিক,মানসিক বিকাশসহ পরিপূর্ণ শিক্ষা দানের লক্ষ্যে কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে সেই কথায় উঠে আসে,প্রাক্তন প্ৰধানশিক্ষক ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ঠ শিক্ষক ডঃ কল্যাণ ভট্টাচার্য, কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অমিয়তোষ ঘোষ ,বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনুসুয়া দাস সহ প্রত্যেক বক্তার মুখে।বাচ্ছা দের মোবাইলে আসক্তি কমানো,তাদের খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া,শ্রেণীকক্ষের গন্ডির বাইরে বেরিয়ে বাচ্চাদের মা ঠাকুমার বলা রূপকথার গল্প সহ অন্যান্য গল্পের বইমুখী করার কথাও ধরা পরে ওনাদের বক্তব্যে। এছাড়াও তাদের মানসিক স্থিতি বাড়ানোর জন্য ভিডিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে মূল্যবান পরামর্শ দেন যোগবিভাগে পারদর্শী শিক্ষিকা টুম্পা দাস মহাশয়া।কলেজের সম্পাদক শ্রীযুক্ত লছমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এদিনের দুটি অর্ধের অনুষ্ঠানই সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।কানায় কানায় প্রেক্ষাগৃহের পূর্ণতাই প্রমান দিচ্ছিল যে লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন তা চূড়ান্ত ভাবেই সফল।শিক্ষাদান যেখানে আনন্দপূর্ণ ,সেখানেই শিক্ষা স্বয়ংসম্পূর্ণ।ছোট ছোট বাচ্চাদের অযথা মানসিক চাপ না দিয়ে,তাদের আনন্দপূর্ণ ভাবে শিক্ষা দেওয়ার কথাও তিনি বলেন।টমাস আলভা এডিসনের জীবনীকথা তুলে ধরে তিনি সকল মা বাবা অভিভাবকে নিবেদন করেন,তাদের ভূমিকা যেন বাচ্চাদের মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে আদর্শ ও দায়িত্ব সম্পন্ন হয়।জোর করে তাদের উপর যেন বোঝা স্বরূপ কিছুই চাপিয়ে না দেওয়া হয়।আর এই লক্ষ্যেই গড়ে তুলেছেন জ্ঞানের পীঠস্থান প্রভাত জ্যোতির্ময়ী জ্ঞানপীঠ।যেখানে একটি শিশু প্রাক-প্রাথমিক স্তরে পড়াশুনা শুরু করে গ্রাজুয়েশন বি.এড শেষ করে বেরোতে পারবে, এরকম প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ রাজ্যে খুব কম প্রতিষ্ঠানেই আছে বলে ওনার বিশ্বাস।এই অর্ধের সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ঠ শিক্ষক ও বাচিক শিল্পী বরুণ দাস মহাশয়


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *